SMART কৌশল – চোখের যোগাযোগের মাধ্যমে কিভাবে সবাইকে বুদ্ধিদীপ্ত এবং অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ ভাবে আঘাত করতে হয়:

 Share To:

মনে রাখবেন, প্রত্যেকের চোখ তার ব্যক্তিগত গ্রেনেড সম, যা অন্য মানুষের আবেগকে বিস্ফোরিত করার ক্ষমতা রাখে।

চোখের দৃষ্টি হতে পারে মায়াময় বা অভ্যর্থনাপূর্ণ, কিংবা হুমকি বা অসম্মানজনক। SMART ব্যাক্তিরা জানেন যে, যথাযতভাবে চোখের যোগাযোগ স্থাপন করার কৌশল বিশেষ উপকারী, তা সম বা বিপরীত লিঙ্গের মানুষের জন্য আলাদাভাবে প্রযোজ্য। এবং এটির ব্যবহার পারিবারিক, সামাজিক, ব্যবসায়িক বা কর্পোরেট জীবনে বিশেষ ভুমিকা রাখে।

কথোপকথনের সময় অন্যদিকে তাকিয়ে কথা বলার চাইতে, চোখে চোখ রেখে কথা বলাই বেশি গ্রহণযোগ্য ও কার্যকর হিসাবে ধরে নেওয়া হয়। এতে বক্তা হিসাবে, শ্রোতার অভিব্যক্তি সহজেই উপলব্ধি করা যায়। অন্যদিকে, বক্তার প্রতি দৃষ্টি রাখার মাধ্যমে তার প্রতিটি শব্দ বুঝতে পারা সহজতর হয় (যেমন ঠোঁটের নড়াচড়া অনুসরণ করা যায়)। বক্তা ও শ্রোতার চোখের যোগাযোগ, কথোপকথনের প্রভাব ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে সাহায্য করে।

শিক্ষক হিসাবে পাঠদানের সময় একজন ছাত্রীর অপলকদৃষ্টি আমাকে উদ্যমিত করতো এই ভেবে যে, ক্লাসে একজন হলেও আমার পাঠদান সে ভালোভাবে অনুসরণ করছে। কিছুদিন পরে বুঝতে পারলাম, সে সবার কথা কম শুনে (Hearing impaired)। এই উদাহরণে দুইটি বিষয় লক্ষ্যনীয়ঃ ১ স্রোতার দৃষ্টি সংযোগ তার আগ্রহ বুঝাতে বক্তাকে নাড়া দেয়, এবং ২ বক্তার কথা বুঝতে স্রোতার দৃষ্টি ভুমিকা রাখে।

ইয়াল রিসার্চে একটা মজার বিষয় উঠে এসেছে যে, ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনায় চোখের দৃষ্টি সংযোগ মহিলাদের মাঝে বেশি আন্তরিকতা তৈরি করে, পক্ষান্তরে পুরুষদের মাঝে তা মোটেও আন্তরিকতা তৈরি করে না। পুরুষরা, মহিলাদের সাথে এবং মহিলারা, মহিলাদের/ পুরুষদের সাথে কথা বলার সময়, চোখের দৃষ্টি জোড়ালো আঠার মতো করে লাগিয়ে রাখাই ভাল। প্রয়োজনে চোখ অন্যদিকে সরাতে হলে ঠিক ঐভাবেই সরাতে হবে যাতে, অন্য জনের কাছে মনে হয়, দৃষ্টি আঠার শক্তি আস্তে আস্তে সর্বশেষ পর্যায়ে গিয়ে কেটে গেল।

 Share To:

পরবর্তী পৃষ্ঠা পড়ুনঃ ‘চোখের দৃষ্টি সংযোগ’ যেভাবে আরও SMART করে